মো.মজিবুর রহমান রনি : আস্সলামুআলাইকুম, ভাই কেমন আছেন ? আমার একটা ছবি তুলে নেন আর দেখেন কাউরে কইয়া আমার চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে দেন না। এখন আর টেকা পয়সা নাই তাই ডাক্তারও দেহাইতে পারিনা।
বলছিলাম হাজীগঞ্জ ৭নং পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড জাকনি মুন্সি বাড়ির শরফ উদ্দিনের ছেলে কালু মিয়ার(৪৫) কথা।
স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে কালু মিয়ার সংসার। হাজীগঞ্জ বাজারে একটি দোকানে লেবারের কাজ করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু ভাগ্যের কাছে অসহায় হয়ে আজ ৬ মাসের মত শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে নীজ বাড়িতে।
কি রোগ হয়েছে জানতে চাইলে কালু মিয়া বলেন-পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি এমনকি ঢাকা গিয়েও ডাক্তার দেখিয়েছি। কোন কোন ডাক্তার বলে পেটে টিউমার আবার কোন ডাক্তার বলে লিবারে সমস্যা। বুঝতে পারছি না কি হয়েছে। এখন আর কোন টাকা পয়সা নাই যে আর ভালো ডাক্তার দেখামু। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দু’বেলা ঠিক মত খেতে পাইনা ডাক্তার দেখাই কিভাবে ?
সরকারী কোন সহযোগিতা পেয়েছিল কিনা জানতে চাইলে কালু মিয়া বলেন না কোন সহযোগিতা পাইনি একটা ঘরের জন্য আবেদন করেছি তা-ও পাই নাই।
খেটে খাওয়া কালু আজ অজানা এক ব্যাদিতে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে না আছে চিকিৎসার ব্যাবস্থা না আছে দু-বেলা দুমুঠো খাওয়ার ব্যাবস্থা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের বৃত্তবানদের কাছে কালু মিয়ার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান কালু মিয়ার পরিবার।
ভালো হয়ে আমাদের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন ও পরিশ্রম করে সংসার চালানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন কালু মিয়া।