এইচ.এম নিজাম : ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দোশে উত্তরণে জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে দেশব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশের আনন্দ উদযাপনের অংশ হিসেবে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের উদ্যোগে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ মার্চ রবিবার বিকালে চাঁদপুর মডেল থানা প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সারা দেশে এ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চাঁদপুর জেলা পুলিশের আলোচনার পূর্বে কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) সহ উপস্থিত অতিথিগন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) তাঁর বক্তব্যের শুরুর বাক্যটি
ছিলো সাবাস বাংলাদেশ, এগিয়ে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা, জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে প্রিয় জন্মভূমি প্রিয় বাংলাদেশ।
তিনি এরপর বলেন, আজকে ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ আর আজকের ২০২১ সালের ৭ মার্চ ৫৩ বছর। আমরা যদি পিছনে ফিরে যাই তবে আজকে কেন আমরা ৭ মার্চ পালন করছি। ভাষণ গুরুত্ব পূর্ণ, বক্তব্য তাৎক্ষনিক। তার পর স্বাধীনতা। জাতির পিতার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে স্বাধীনতার কথা যার বাশিঁতে বাঙ্গালি জাতী একত্রিত হয়েছিল স্বাধীনতার জন্য। পররাস্ট্রনীতিকে মাথায় রেখে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেদিন ২টা ৪৫ মিনিট থেকে ৩টা ৩ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য রাখেন। তাকে সেদিন শক্তি আর সঞ্চার যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা ফজিলুতুন নেছা। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ৭মার্চের ভাষণ দিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে আনন্দ উদযাপন করছে। বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করতে আন্দোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধু এ জাতিকে উজ্জিবিত করে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি যৌবনের ১৩ বছর জেলে কাটিয়েছেন স্বাধীন দেশ বিনির্মানে। এ জাতি ছিলো বঞ্চিত নিপীড়িত জাতি।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বির্ধস্ত জাতিকে সমৃদ্ধ জাতী হিসেবে স্বাধীনতার পর দাড় করতে চেয়েছিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা কে হত্যা করতে চেয়েছেন। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্স লাইট নামে রাজারবাগে পুলিশের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে, সাংবাদিক নাট্য ব্যাক্তিত্ব এম আর ইসলাম বাবু এবং চাঁদপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক শাহরিনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ,পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাউসার, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারন সম্পাদক রহিম বাদশা, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, পুরানবাজার কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।
সন্ধ্যায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)কের আয়োজনে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।