সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগীর কাছ থেকে এক চিকিৎসকের অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসাপতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট মোঃ হাসানুর রহমান সরকারি হাসপাতালে হারুনুর রহমান (৫৫) নামের রোগীর চিকিৎসাপত্র দেওয়ার পর ৫শ’ টাকা ভিজিট নেন। তিনি শুধু ভিজিট নিয়েই খান্ত হননি হাসাপতাল সম্মুখে আজাদ ডিজিটাল ডায়াগনিষ্টিকে গিয়ে রোগীকে কয়েকটি টেষ্ট করাতে বলে।
ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের বিল আসে ১৭০০ টাকা। রোগীর পক্ষে এত টাকা পরিশোধ করা কস্টকর হয়। তখন তিনি এলাকার পরিচিত জনদের খবর দেন। পরিচিত ও আত্মীয়রা হাসপাতালে এসে জনৈক ডাক্তারের কাছ থেকে ভিজিট নিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগি রোগী শহরের রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা হারুরুন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এক দালাল আমাকে হাসান ডাক্তারে কাছে নিয়ে অাসে। আমাকে দেখার পর কাগজে বিভিন্ন ওষুধ ও টেস্টের কথা লিখে বলে ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে যান। আমি বলি কিছু কম নেওয়া যায় না। ডাক্তার বলেন ভিজিট ৫শ’ টাকা আর এই টেস্টগুলো আজাদ ডায়াগনষ্টিকে গিয়ে করে আসুন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে অফিস কর্তৃপক্ষ জানান।
হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ এ এইচ এম সুজাউদ্দোলা রুবেলের সাথে আলাপকালে তিনি জানান সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখার কোন ভাবেই ঠিক না। কোন ধরনের অর্থ রোগীর কাছ থেকে সরকারি হাসপাতলের ডাক্তার নিতে পারে না।
এ বিষয়ে ডাঃ হাসানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ২টায় কর্নফুলি হাসপাতালে যাচ্ছি, আপনারা আসুন। অনেক সময় বসবার পর ওনি না আসায় তকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, অনেকে রুগী হাসপাতালে আসে-যায়। কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কিনা তা আমার মনে নেই। আবার বলেন না কোন রোগির কাছ থেকে আমি ভিজিট নেইনি।
উল্লেখ্য হাসাপতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ হাসানুর রহমানের বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন রোগী অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমের কাছে। এ ডাক্তারের রুমের সামনে সব সময় দালালদের অনাগোনা চোখে পড়ে।