মাসুদ হোসেন : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মান্দারী গ্রামে গৃহবধু জান্নাত হত্যার অভিযোগ এনে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে এলাকার হাজারো পুরুষ মহিলা ও শিশু মানববন্ধন করে বিক্ষোভে ফেটে উঠে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে মান্দারী গ্রামের কাজী বাড়ী মমিন কাজীর স্ত্রী জান্নাত বেগম ইন্তেকাল করেন। তার পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী, মোস্তফা কাজীর পরিবারের মাধ্যমে জান্নাত বেগমকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষ কে ফাঁসাতে অভিনব কায়দায় তারা নিজের ঘর ভাংচুর করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে এবং এলাকাবাসীদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এতে অসহায় ও খেটে খাওয়া মমিন কাজীর পরিবার সহ আমরা এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা দ্রুত জান্নাত হত্যার বিচার চাই।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মমিন কাজী গং ও মোস্তফা কাজীর মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে গত কয়েক বছর মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে। এ নিয়ে বহু দেন দরবার হলেও মিমাংশা হয়নি। সম্প্রতি বিরোধকৃত সম্পত্তিতে বালি ফেলা নিয়ে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাক্য বিনিময় হয়ে আসছিল।
এ সময় মোস্তফা কাজী তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তাদের দাবী মোস্তফা কাজীর হুমকি অনুযায়ী তাবিজ ও বানটোনা করেই জান্নাত বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। তাবিজ বানটোনা করেই জান্নাতকে মারা হয়েছে এতে। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মহল জমি সংক্রান্ত বিরোধটি মিমাংসা না করে সুবিধা ভোগের জন্য উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রেখেছে বলে অসহায় খেটে খাওয়া রিক্সা শ্রমিক মমিন কাজীর পক্ষ থেকে জানান।
এছাড়া মোস্তফা কাজী নিজেদের লোক নিয়ে নিজের ঘর ভাংচুর করে এলাকাবাসীকে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে অপচেষ্টা করে আসছে। তাই আমরা জান্নাত হত্যার বিচার চাই। এছাড়া এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবী জানান। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা কাজীর ছেলে ওমর শরীফ জানান, এসব অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাবিজ ও বানটোনা এসব মানুষের বানোয়াট ধারনা।
আমরা শুনেছি জান্নাত বেগম বিভিন্ন অসুস্থতায় ইন্তেকাল করেছে। আমাদের ফাঁসাতে তারা এমন ভুয়া অভিযোগ আনে।