চাঁদপুর প্রতিনিধি : ডাকাতিয়া নদীর উপর চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্যে নির্মানাধীন সেতুর ফরিদগঞ্জ অংশের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সকলে মিলে কোটি টাকা নিয়েও চররনবলিয়া গ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর আওতাভুক্ত সম্পত্তির প্রায় ২০লাখ টাকার শতশত গাছ কর্তন করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। ওই সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজনের সামনে এসব গাছ হরিলুট হলেও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। এমনকি এলজিইডির দায়িত্বরত লোকজনও কোন ধরণের খোঁজ খবর নিচ্ছেন না লুটেরাদের।
রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাগেছে একোয়ারভুক্ত এলাকায় প্রায় ১৬-১৭জন ব্যাক্তির সম্পত্তি পড়েছে। এদের মধ্যে গত ৩ দিন একোয়ারভুক্ত সম্পদ বিক্রয়কারী সোলেমান, নুর হোসেন, কামাল মেলেটারি, হারিস, আলমগীর, মজিবুল হক, সফিক ও আবুল হোসেন কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের গাছ কর্তন করে নিয়েগেছেন।
এই বিষয়ে আবুল হোসেন জানান, গত ৩ দিন আগে চাঁদপুর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী, ব্রিজের কাজে নিযুক্ত প্রকৌশলীসহ বেশ কয়েকজন ব্রীজ সংলগ্ন একোয়ারভুক্ত সম্পত্তি থাকা স্থাপনা ও গাছগুলো কর্তন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে বলেছেন। কারণ ব্রিজের দ্বিতীয় টেন্ডারের কাজ শুরু হবে। সেই আলোকে ওই স্থানে যাদের গাছ ও স্থাপনা রয়েছে তারা তাদের স্থাপনা ও গাছগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা এসে করাত দিয়ে গত ৩ দিন ধরে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক মহসীন জানান, একোয়ারভুক্ত সম্পত্তি থেকে অর্থাৎ সরকারি সম্পত্তি থেকে কিভাবে গাছ কেটে নিয়েগেছে তা আমাদের জানা নেই। তবে এসব সম্পত্তির মালিকরা তাদের সম্পত্তির মূল্য হিসেবে সরকারের কাছ থেকে সকলে মিলে কোটি টাকার উপরে নিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে আলোচনা আছে একোয়ার করার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব লোকদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন। বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। ব্রিজের কাজে এলজিইডির দায়িত্বরত প্রকৌশলীসহ অনেকে এসব অনিয়মের মধ্যে জড়িত।
এদিকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখাগেছে ব্রিজের পূর্ব পাশে গাছকর্তন করা ব্যাক্তিদের কেউ কোন বাধা না দিলেও আমিন নামে আরেক ব্যাক্তি তার গাছ কর্তন করার জন্য আসলে বাধা প্রদান করে ঠিকাদারের লোকজন। যার কারণে স্থানীয়ভাবে এ নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিজের কাজে বর্তমানে দায়িত্বরত সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাফিউল ইসলামের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ আছেন বলে জানান। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
এলজিইডি চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ বিশ^াস বলেন, গাছ কর্তনের বিষয়টি তিনি অবগত নন। তিনি কিংবা এলজিইডির পক্ষ থেকে কেউ গাছ কর্তন করার জন্য বলেননি। তবে এই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। যদি কেউ গাছ কর্তন করে থাকে তাহলে তাদেরকে ওইসব গাছ নিতে দেয়া হবে না।